কক্সবাজার, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

টেকনাফে এক জালেই আটকা ২০০ লাল কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জালেই ধরা পড়েছে ২০০টি লাল কোরাল মাছ।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ভোররাতে উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা মো. আতাউল্লাহর ট্রলারে বঙ্গোপসাগরের ‘৯ বাইন’ এলাকায় মাছগুলো ধরা পড়ে। একেকটি মাছের ওজন সাড়ে তিন থেকে পাঁচ কেজি। সব মিলিয়ে মাছের ওজন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ মণ।

মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে মাছগুলো শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়। শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ট্রলারের মাঝি মো. আবদুর রশিদ জানান, গতকাল দুপুরের দিকে ১০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে তারা সাগরে মাছ ধরতে যান। রাতে সাগরের ‘৯ বাইন’ এলাকায় জাল ফেলেন।

ভোররাতে জেলেরা জাল টেনে তুলতেই দেখতে পান, বড় বড় লাল কোরাল ধরা পড়েছে। পরে ট্রলারে জাল তুলে দেখা যায়, সাড়ে তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজনের ২০০টি লাল কোরাল মাছ। মাছগুলোর ওজন প্রায় ৬০০ কেজি।

টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, এক জালে ২০০টি লাল কোরাল ধরা পড়ার খবর তিনি শুনেছেন।

সুস্বাদু কোরাল বা ভেটকি মাছের কদর দেশব্যাপী। বঙ্গোপসাগরের গভীর পানির মাছ কোরাল সব সময় হাটবাজারে পাওয়া যায় না। এ জন্য মাছের দাম কিছুটা বেশি।
তিনি আরো জানান, মাছটি সাধারণত ১ থেকে ৯ কেজি ওজনের হয়। মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Lates calcarifer।

এ মাছ উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চল বিশেষত পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখা যায়। তা ছাড়া এশিয়ার উত্তরাঞ্চল, কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্ব আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলেও দেখা যায়।

শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, এখন সাগরে ইলিশ ধরার মৌসুম হলেও সেভাবে ইলিশের দেখা মিলছে না। গত দুই-তিন দিনে বিভিন্ন ট্রলারে লাল কোরাল ধরা পড়ছে। তাই এলাকার অধিকাংশ ট্রলার কোরাল ধরতে ছুটছেন।

পাঠকের মতামত: